শিশুর পেটে ব্যাথা একটা সাধারণ সমস্যা, যার লক্ষণ হলো অত্যধিক কাঁদা ও স্থির না হতে পারা, বিশেষ করে সন্ধ্যা ও রাতে। শিশুটিকে প্রায়শই দেখা যেতে পারে যে সে তার পা’গুলি পেটের দিকে টেনে আনছে, যেন তার খুব যন্ত্রণা হচ্ছে।
পেটে ব্যথার লক্ষণ
পেটে যন্ত্রণার মুখ্য উপসর্গগুলি হলো:
- স্পষ্ট কোনো কারণ ছাড়া এবং বাচ্চাকে চুপ করানোর বারংবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও দীর্ঘক্ষণ ধরে বাচ্চার কেঁদে যাওয়া, কখনও কখনও বাচ্চা তারস্বরে চিৎকার করতে থাকে। উপসর্গগুলি প্রত্যেক দিন একই সময়ে হতে পারে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুপুরে বা সন্ধ্যার দিকে এবং খাবার খাওয়ার পরই।
- বাচ্চার পেটে অত্যাধিক গ্যাস হওয়ার লক্ষণ দেখা যেতে পারে অথবা পেট ফুলে যেতে পারে এবং দেখে শক্ত মনে হবে। কাঁদার সময় বাচ্চা পেটে যন্ত্রণার লক্ষণ দেখাতে পারে যেমন হাঁটুদুটো বুকের দিকে তোলা, মুঠো বন্ধ করা, হাত পা ছোঁড়া অথবা ধনুকের মতো বেঁকে যাওয়া
- বাচ্চার প্রায়শই ঘুম আসে না, বিরক্ত হবে বা খিটখিটে হয়ে যাবে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে যে কিছু বাচ্চার পেটে যন্ত্রণার একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ল্যাকটেজের অস্থায়ী অভাব। মনে করা হয় যে এটা হলো শিশুর অপরিণত পাচনতন্ত্র নিয়ে জন্ম নেওয়ার ফলাফল, যার ফলে ল্যাকটোজকে হজম করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ল্যাকটেজ এনজাইম উৎপাদন করতে পারে না। আপনার শিশু যদি ল্যকটোজ হজম করতে সক্ষম না হয়, তাহলে তাকে মায়ের দুধ খাওয়া বা চিজ বা দইয়ের মতো ডেয়ারি পণ্য খাওয়ার মোটামুটি 30মিনিটের মধ্যে তার ডাবেরিয়া, পেটে খিঁচ ধরা, পেট ফোলা বা গ্যাস হতে পারে।
শিশুর পেটে ব্যাথা ও ল্যাকটোজ হজম না হওয়ার সমস্যাকে প্রাকৃতিক ও নিরাপদ উপায়ে সামলানোর উপায় হিসেবে ভারতে প্রথম বারের জন্য ইয়ামু ড্রপ (ল্যাকটেজ এনজাইম ড্রপ) পেশ করা হয়েছে, যা ল্যাকটোজকে ভাঙতে সাহায্য করে এবং এইভাবে ল্যাকটোজ হজম না হওয়ার উপসর্গ দূর করায় সহায়ক হয়।

স্টাডিজ দেখিয়েছেন যে 70% ইনফ্যান্টাইল কলিকাল ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা এর কারণে